আবারও অভিশংসিত ট্রাম্প

243

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেয়াদের আগেই অপাসারণ করতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে (প্রতিনিধি পরিষদে) ২৩২-১৯৭ ভোটে ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট দুই বার অভিশংসিত হলেন।

প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রায়াল হবে। ১০০ সদস্যের সিনেটে এখন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের সংখ্যা সমান সমান। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মতি দিলে তবেই ট্রাম্প মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য হবেন।

মাত্র এক সপ্তাহ ক্ষমতায় আছেন ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন।

২০ জানুয়ারির আগেই অভিশংসন নিয়ে সিনেটের সিদ্ধান্ত জানা যাবে না। তবে সিনেটে ট্রায়ালে দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ডেমোক্রেট-নিয়ন্ত্রিত হাউসে বেশ কয়েক ঘণ্টার বিতর্ক শেষে অভিশংসন নিয়ে ভোটাভুটি হয়। ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১০ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। সেসময় ক্যাপিটলের বাইরে ও ভেতরে সশস্ত্র ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের অভিযোগ মূলত রাজনৈতিক। কংগ্রেসের অভিযোগ— ট্রাম্প গত ৬ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের বাইরে একটি র‌্যালিতে বক্তব্য দিয়ে ক্যাপিটলের হামলাকে প্ররোচিত করেছিলেন।

সে দিন কংগ্রেসে বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অনুষ্ঠান শুরু হলে, ট্রাম্পের একদল উগ্র সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছিল। সে ঘটনায় দুই ক্যাপিটল পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।

অভিশংসনের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ‘বারবার মিথ্যা দাবি করে বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রতারণামূলক এবং তা গ্রহণ করা উচিত নয়।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্প সেদিন বারবার এমন দাবি করেছিলেন এবং ‘জনগণের কাছে স্বেচ্ছায় এটি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন যা উগ্রপন্থিদের উত্সাহিত করেছিল এবং সম্ভবত এ কারণেই ক্যাপিটলে হামলা হয়েছে, যার ফলে সহিংসতা ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।’

‘ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন সরকারের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিপন্ন করেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অখণ্ডতার ওপর হুমকি এনেছেন, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন।’

গত সপ্তাহে ১৩৯ জন রিপাবলিকান ট্রাম্পকে পরাজিত মেনে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

Advertisement