চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নিহতের ঘটনায় পলাতক আসামি দেলোয়ার রশিদকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সকালে নগরীর চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দেলোয়ার রশিদ ডবলমুরিং থানাধীন মোগলটুলি ওসমান গনি কন্ট্রাক্টর বাড়ির মফিজুল হকের ছেলে। তিনি আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
র্যাব ৭-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজগর আলী বাবুল হত্যার সঙ্গে দেলোয়ার রশিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলী মগপুকুর পাড় এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল নিহত হন। এ সময় অপর দুজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- মো. মাহবুব ও অলিউদ্দিন। তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়।
এদের মধ্যে নিহত আজগর আলী ও মাহবুব ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক। অপরজন পথচারী।
ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, মগপুকুর এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গোলাগুলি হয়।
এতে গুলিবিদ্ধ হন আজগর আলী বাবুল ও মাহবুব। দুজনই বাহাদুরের সমর্থক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে আজগর ও মাহবুবকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজগরের মৃত্যু হয়।