জয়পুরহাটে ব্রকলি চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কৃষক মোসলেম উদ্দিন

234

অত্যধিক পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রকলি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছ গ্রামের এক প্রান্তিক চাষী মোসলেম উদ্দিন।

Advertisement

সরেজমিন ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দরিদ্র কৃষক মোসলেম উদ্দিন ২০ শতাংশ জমিতে এবার ব্রোকলি চাষ করেছেন। ব্রকলি দেখতে ফুলকপির মতো। তবে ব্রকলির পাতা ও ফুল ফলের রং সবুজ। চাষ পদ্ধতি বাধা বা ফুলকপির মতোই। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে মোসলেমের ব্রকলি বাজারে আসবে। তুলনামূলক বাজারে ফুল কপি বা বাধা কপির চেয়ে, ব্রকলি বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে ব্রকলি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বেশি।

ব্রকলি চাষী মোসলেম উদ্দিন জানান, এবার ২০ শতাংশ জমিতে দুই হাজার ৫শ টি ব্রকলির চারা রোপণ করেছেন। ফুলকপির মতো চারা লাগানো থেকে ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ব্রকলি সংগ্রহ করা যায়। ফলে কৃষকরা অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারেন। মোসলেম উদ্দিন জানান, ২০ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষে চারা, লেবার, সেচসহ এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। একেকটি ব্রকলি ২০/২৫ টাকা পিস বিক্রি করলেও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি। বিষমুক্ত ভাবে এটি চাষ করা হচ্ছে। পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রকলি চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার ওই এলাকার স্বপন কুমার, বিমল পাহান, আব্দুর রহমান, আমেদ আলি, সোয়াইব, নোমানসহ অনেক কৃষক বর্তমানে ব্রকলি চাষ করেছেন। স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন” ব্রকলি চাষে বীজ সরবরাহসহ আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।

বেলে দো’আশ মাটিতে ব্রকলির ফলন ভাল হয় এবং অত্যধিক পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ ব্রকলি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান, সহকারী পরিচালক (কৃষি) ওবাইদুল ইসলাম।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কৃষি ইউনিটের অধীন বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

Advertisement