চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামানের নিকট নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক একরামুল করিম সাক্ষরিত দুটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্র দুটি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল রিটার্নিং অফিসারের স্টাফ অফিসারের কাছে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জমা দেন।
এতে অভিযোগ করা হয় রাতের আঁধারে বিএনপির নেতাকর্মী ও এজেন্টদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে অভিযান ও গ্রেফতার চালানো হচ্ছে। কাউকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন। অথচ এদের কেউ এজাহারভুক্ত বা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নয়। গত রাত হতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ জনের ও অধিক বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী ও এজেন্টদের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন- ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড এর নওশাদ, ২১ নং জামালখান ওয়ার্ডের নূর হোসেন, ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড এর লোকমান ও জসু, ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড এর মামুন ও দিদার, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ডের গোলাপ, ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের হোসেন ও সোহান, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড এর ইউনূসসহ ৩৫ নং বক্সীরহাট ওয়ার্ডের তিনজনসহ অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে, গতকাল সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম আবারও নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং গাড়িবহরের শোডাউন দিয়ে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন, যা বারবার নির্বাচনী আচরণ বিধি সুনির্দিষ্টভাবে লংঘন।
বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয় অভিযোগপত্রে। নাহলে এই অবস্থা চলমান থাকলে, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ছাড়া আমাদের অন্য কোন উপায় থাকবেনা বলে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে চকবাজার থানার অভিযান এবং পাঁচজনকে গ্রেফতারের ব্যাপারও অভিহিত করা হয়।