মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

223

মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান। মিরাজ করেছেন ১০৩ রান।

Advertisement

মধ্যাহ্ন বিরতির পরে মাঠে ফিরেই অর্ধশতক হাঁকান মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার তৃতীয় ফিফটি। অর্ধশতক পূরণ করার পরেই রাহকীম কর্নওয়ালের ওপর চড়াও হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মারার পরের বলেই আবার শট নিয়ে লং অনে তালুবন্দী হয়েছিলেন তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ফিল্ডার ভারসাম্য হারিয়ে বলটি ধরে রাখতে না পারায়।

সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পরে মিরাজকে ভালো সমর্থন দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বেশ ধৈর্যের সাথে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তার ৭২ বলের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটরক্ষক জসুয়া ডা সিলভার তালুবন্দী হয়ে। তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। মিরাজের সাথে গড়েছিলেন ১১৭ বলে ৪৪ রানের জুটি।

তাইজুলের বিদায়ের পরে মিরাজের সাথে যোগ দেন নাঈম হাসান। মিরাজ ও নাঈমের মধ্যকার জুটিতে বেশ দ্রুত রান উঠতে থাকে। কর্নওয়ালের বলে নাঈমকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বলটি স্ট্যাম্পে আঘাত হানেনি ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান নাঈম। তার এই ঘটনা প্রথম দিনে সাদমানের উইকেটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল।

দ্রুত রান তুলতে থাকা নাঈম পার্ট টাইম বোলার এনক্রুমাহ বনারের কাছে পরাস্ত হন। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। নাঈম ফেরেন ২৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চারের মার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে মিরাজ ঠিকই এগিয়ে নিতে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে।

তৃতীয় ফিফটিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করে ফেলেন মিরাজ। অপরপ্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পরে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কর্নওয়ালের শিকার হন মিরাজ। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩০ রানের। মুস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন ৩ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জোমেল ওয়ারিকান ৪টি কর্নওয়াল ২টি উইকেট নেন।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন লিটন দাস। তিনি করেন ৬৭ বলে ৩৮ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সাকিবও আউট হয়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। সাকিবের ১৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার।

প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৫ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছিলেন। দিনের শুরুতেই ৯ রান করে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। রান আউটে কাটা পড়ে শান্ত ফিরেছিলেন ২৫ রানে। মুমিনুল, সাদমান ও মুশফিক দুইজনেই ওয়ারিকানের শিকার হয়েছিলেন। যদিও সাদমানের আউটটি পরে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে আউট হতো না। সাদমান ৫৯, মুশফিক ৩৮ ও মুমিনুল করেছিলেন ২৬ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস : বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৪৩০/১০ (১ম ইনিংস)
মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ৬৯,।

Advertisement