রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে ইরফাত আলম ইরা(১৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোমর পাড়া গ্রামের ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাউজান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূ ইরা এলাকার ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির নুর মোহাম্মদের পুত্র আকিজুর রহমান রিমনের স্ত্রী।
নিহতের জা নুসরাত জাহান বলেন, আমার দেবর রিমন বিকাল ৪ টার দিকে ফোন করে জানায়, সে বেশ কয়েকবার তার স্ত্রী ইরাকে কল দিলেও ফোন রিসিভ করছেনা। আমি রুমে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে দেবরকে বিষয়টি জানানোর পর দরজা ভেঙ্গে তার কক্ষে প্রবেশ করে জানালার গ্রীলের সাথে গলার ওড়নায় পেঁছিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ, এসআই ইব্রাহিম, এসআই ইসমাইলসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, কমল চক্রবর্তী, ইলিয়াস মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইদ্রিস চেয়ারম্যানের বাড়ির নুর মোহাম্মদের পুত্র আকিজুর রহমান রিমনের সাথে পার্শ্ববর্তী পাহাড়তলী ইউনিয়নের মৃত দেলোয়ার আলমের কনিষ্ঠ মেয়ে ইরফাত আলম ইরার প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কে তারা একে অপরের খালাত ভাই-বোন হন। বিগত তিন বছর পূর্বে পরিবারের অমতে তারা পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর দুই বছর ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন দুজন। পরে প্রবাস থেকে রিমনের ভাই দেশে ছুটিতে এসে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভাই ও তার স্ত্রীকে ঘরে তোলেন। তবে বিয়ের বিষয়টি ইরার পরিবার মেনে নেননি।
রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কায়ছার হামিদ বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।