দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে আছে ১৫৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশের শরীরী ভাষা। যার ফলও বাংলাদেশ দ্রুতই পায়। ১১ রানের মাথায় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে শিকার করেন নাঈম হাসান। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ আউট আম্পায়ার প্রথমে না দিলেও রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করেন বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় উইকেটটি শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেইন মোসলেকে শিকারের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেন এই ডানহাতি স্পিনার। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই ক্লাব নাম লেখালেন তিনি। বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড নতুন করেও লিখেছেন মিরাজ। ২০ রানে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন জন ক্যাম্পবেল। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ভাগ্য কিছুটা খারাপই বলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯ রানে ৩টি উইকেট হারায়।
তৃতীয় দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪১ রান। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। সফরকারীরা এগিয়ে আছে ১৫৪ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৪০৯ রান। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৯৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন দাস। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৭ ও মুশফিকুর রহিম ৫৪ রান করেন। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা বলার মতো রান করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি স্পিনার রাহকীম কর্নওয়াল নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। এছাড়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩টি ও আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯/১০ (১ম ইনিংস)
বাংলাদেশ ২৯৬/১০ (৯৬.৫ ওভার)
লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪, তামিম ৪৪, মুমিনুল ২১, মিঠুন ১৫, শান্ত ৪, সৌম্য ০;
কর্নওয়াল ৫/৭৪, গ্যাব্রিয়েল ৩/৭০, জোসেফ ২/৬০।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪১/৩ (২১ ওভার)
ক্যাম্পবেল ১৮, বনার ৮*;
তাইজুল ১/১৩, নাঈম ১/১৪, মিরাজ ১/১৪।