চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য-সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবর রহমানের সরকার জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্রকে হত্যা করার পর সেটিকে জায়েজ করতে এখন নানা অপকর্মের আশ্রয় নিয়েছে এ সরকার। তার সর্বশেষ কুৎসিত নাটক হলো স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
তিনি আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এমনিতেই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। সে জন্যই জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। কারন জিয়া পরিবারের নামে বিষোদগার করলেই আওয়ামী নেতাদের পুরস্কৃত করেন শেখ হাসিনা। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আওয়ামী সরকারের লাগামহীন ক্রোধ এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তো অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত। সরকারের প্ররোচনায় জামুকা এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের মাফিয়া দুঃশাসনের যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, তা আড়াল করার জন্যই রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের যে মাফিয়া চরিত্র দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে উম্মোচিত হয়েছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা একদিন স্বৈরশাসক দেখেছি, সেনাশাসক দেখেছি বিশ্ববাসী এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাফিয়া শাসক দেখেছে। এটা সরকারের জন্য অনেক বিশাল বড় অর্জন হলেও আমাদের বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাাদক নূরে আরা ছাফা, এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মোঃ আলী, মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, শামসুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, মো. সালাউদ্দিন, মোঃ সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদ হাসান, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, নগর জাসাস সাধারণ সম্পাদক মামুনুল রশিদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খাঁন, আকতার খান, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, জমির আহমদ, ইলিয়াছ চৌধুরী আলাউদ্দিন আলী নূর, আলি আব্বাস খান, মোঃ ইলিয়াছ, জানে আলম জিকু, এড আবুল কাশেম মজুমদার, মোঃ ইলিয়াছ, ফারুক আহমদ, মোঃ বেলাল, খাজা আলাউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির সোহেল, ফয়েজ আহমদ, শায়েস্তা উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, ফরিদুল আলম, সৈয়দ আবুল বসর, নাছিম আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, আবু সাঈদ হারুন, আনোয়ার হোসেন আরজু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, এস এম আজাদ, মোঃ হাসান, মামুন আলম, হাজী জাহেদ, মনজু মিয়া, আশ্রাফ খান, মনজুরুল কাদের, হাজী এমরান প্রমুখ।