পড়ালেখার পাশাপাশি আনন্দ-বিনোদনের কোন বিকল্প নেইঃ অতি. জেলা প্রশাসক

105

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু রায়হান দোলন আজকের শিশুরা আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। শিশুদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন শিশু আনন্দ-বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবেনা। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের আনন্দ-বিনোদনের কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাদেরকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। শিশু অধিকার যাতে লংঘিত না হয় সে বিষয়ে সকল অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। আমরা প্রত্যেক শিশুর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে শিশুদের বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

Advertisement

আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশু একাডেমি আয়োজিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-“গড়বে শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দেবে আলোর রেশ”। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেও মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, শিশু সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা ও সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে শিশু নির্যাতন বন্ধসহ শিশুশ্রম আইন ও শিশু নীতি বাস্তবায়ন হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তবে শিশুর নেতৃত্ব বিকাশে এখন থেকে স্কুল পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞার সভাপতিত্বে, শিশু একাডেমির প্রশিক্ষক এডভোকেট মিলি চৌধুরী ও প্রশিক্ষক তানভীরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু।

বক্তব্য রাখেন শিশু প্রতিনিধি আইরিন আক্তার ও ওয়াছিরুল আলম ইনান। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের প্রশিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement