চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আজ বুধবার সকালে টাইগারপাসে কর্পোরেশনের অফিসের তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান(সচিব) মো. আবু বকর ছিদ্দিক।
সাক্ষাতকালে মেয়র তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিপিসি চেয়ারম্যান নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে ক্রেস্ট ও একটি কেক উপহার নিয়ে আসেন যা তাঁর হাতে তুলে দেন।
এসময় তাদের দুজনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ড ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়।
আলাপকালে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অভিভাবক হলেন মেয়র। তাই নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করলাম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে যেখানেই কাজ করার সুযোগ থাকুক সেক্ষেত্রে আমরা কর্পোরেশনকে অগ্রাধিকার দেব। বিপিসি চেয়ারম্যানের কথা প্রসঙ্গে মেয়র রেজাউল বলেন, নগরীর ভাঙ্গা-চোরা রাস্তা নিয়মিত পেচওয়ার্কের মাধ্যমে মেরামতে কর্পোরেশনের ১৫০ টনের মত বিটুমিন প্রয়োজন। যার চাহিদাপত্র ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। তিনি এব্যাপারে বিপিসি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিপিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশের সব কর্পোরেশন এলাকায় চাকরিসূত্রে আমার ঘুরার সুযোগ হয়েছে। তবে চট্টগ্রামের মানুষের সারল্য, আতিথেয়তা আমাকে খুব টানে। আবু বকর ছিদ্দিক আরো বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে তেল শোধন করতে পারে দৈনিক ৪৫ লাখ টন। নতুন আরেকটি ডিপোর কাজ চলমান রয়েছে যা সম্পন্ন হলে দৈনিক ৬৫ লাখ টন তেল শোধন করা সম্ভব হবে। আর বিটুমিন ইচ্ছা করলেই বেশী উৎপাদন করা যায় না।
আলাপকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর্পোরেশনের প্রতি সপ্তাহে ২০০ টন বিটুমিন লাগে। যা নগরীর ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত কাজে ব্যবহৃত হবে। এই চাহিদার বিপরীতে যত রকম সহযোগিতা লাগবে তা বিপিসির পক্ষ থেকে করা হবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মেয়রকে কথা দেন। সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এর কারণে উৎপাদন কাজ কিছুটা ভাটা পড়ে বলে মেয়রকে অবহিত করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।
এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে চসিকের আবর্জনা পরিস্কার কাজের জন্য কিছু তিন চাকার ভ্যান দেবেন বলে বিপিসি চেয়ারম্যান জানান। তিনি এসময় শিঘ্রই এর জন্য একটি পত্র তাদের বরাবরে দিতে বলেন। বিপিসি চেয়ারম্যান তাদের প্রতিষ্ঠানের কোন পৌরকর বকেয়া থাকলে তাও পরিশোধ করে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সৈয়দ মেহ্দী হাসান, সচিব (উপ-সচিব), মো. লাল হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, বিপিসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. আহমদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।