ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চরম ভোগান্তিতে আছেন ফটিকছড়ির রবি’র গ্রাহকেরা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ৪.৫ জি সুবিধার চটকদার বিজ্ঞাপন দিলেও এই ধরনের সেবার ধারে কাছেও নেই তারা। রবি জোন হিসেবে পরিচিত ফটিকছড়ি উপজেলার প্রায়ই মানুষ রবি নাম্বার ব্যবহার করলেও রবি’র ভোগান্তিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহক। গ্রাহকসেবায় অনেক পেছনের কাতারে তারা। ঘন ঘন নেটওয়ার্ক আসা যাওয়া, কলড্রপ, নো নেটওয়ার্ক কভারেজ, কল ফেইলড, ফোন করলেই বিনা কারণেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সংযোগ। আবার অনেকের মোবাইল ব্যালেন্স থেকে বিনা নোটিশে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়তো আছেই।
গত কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা চরম আকারে হলেও রবি কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় চরম আকারে চলে যাওয়ায় সব ধরণের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে করে অফিসিয়াল কাজকর্ম করাও দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। তবে তুলনামুলক কিছুটা হলেও সচল গ্রামীণ ফোন ও অন্যান্য অপারেটরগুলো।
জাহেদুল আলম নামে রবি’র এক গ্রাহক জানান, নিজের ঘরের ভিতরও রবি’র নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
জয় চক্রবর্তী অন্য একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, রবি’র খুব বাজে অবস্থা বাসা থেকে টাওয়ার এর দূরত্ব ১০০ মিটার তারপর ও এতো বাজে নেট বলার মতো না।
রবি’র নেটওয়ার্কের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর জানান, গত দুইদিন ধরে রবি গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে আছি।করোনাকালিন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও আমাদের অনলাইনে ক্লাস চলছে।অথচ রবি’র সঠিক নেটওয়ার্ক না থাকায় বিভিন্ন তথ্য পেতে নানামুখী সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মো: ইসলাম নামে আরো একজন গ্রাহক জানান, রবির নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের ফলে কোন কাজকর্ম করাই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখন অন্য অপারেটর ব্যবহার করার চিন্তা করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি এরিয়ায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো: আইনুল হোসেন বলেন, আমি গ্রাহকের সব অভিযোগ নিলাম।আমরা গতবছর কোভিডের ভিতরে ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানা মিলে ২৮টি টাওয়ার দিছি। আরো সাতটি স্থাপন করা হবে। আমরা গ্রাহকের সুবিধার্থে এসব টাওয়ার স্থাপন করছি। আমি আপনার (প্রতিবেদক) অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে নিলাম।কাঙ্ক্ষিত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করছি।