করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে গণভবনে তিনি টিকা নেন।এসময় সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু।
এদিকে, টিকা নেয়ার আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে একযোগে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে টিকা প্রদান করা হয়।
১ম দফায় ৭০ লাখ টিকা ভারত থেকে দেশে আনা হয়। যার মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখের মতো। এরপর ২য় দফায় আরও ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে।
সারাদেশে গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার টিকা কার্যক্রমের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেয়, টিকা সর্বপ্রথম সম্মুখসারির যোদ্ধা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীরা পাবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদেরকে রাখা হয় অগ্রাধিকার তালিকায়।
সারাদেশে গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মসূচিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে দিয়ে দেশে শুরু হয় করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম।
গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকা অবস্থায় প্রথমে টিকা দেয়া হয় ৫ জনকে। এই পাঁচ জনের মধ্যে সবার শেষে টিকা পান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। তাকে যখন টিকা দেয়া হয় সে সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘মনে হচ্ছে আমরাও গিয়ে নিয়ে আসি।’
পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘আগে আগে নিলে বলতো নিজেই নিলো অন্য কাউকে দিলো না। সবাইকে দিয়ে নিই তারপরে। আমি নিবো’