জমকালো আয়োজনে ‘আমার দারাজ গ্র্যান্ড লাইফ এক্সপো’

244

কেনাকাটা আর উৎসবমুখর মেলায় আয়োজনের শেষ দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভুঁইয়া, আমার দারাজের সিএসআর প্রধান তানজিলা রহমান, এক্সপো চেয়ারম্যান আনিস ওয়ারেসী।

Advertisement

সাংবাদিক আযহার মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, মেলার মাধ্যমে কেবলমাত্র কেনাকাটা ছাড়াও তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিষ্ঠান বা পণ্যকে ব্র‍্যান্ডে রুপান্তর করতে পারেন। মেলাতে সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে কাজের স্পৃহা তৈরির জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও মানসম্পন্ন পণ্য প্রসারের দিকে নজর দিতে উদ্যোক্তাদের আহবান জানান তিনি।

মেলার শেষ দিনে কোভিড হিরো অব চট্টগ্রাম হিসেবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের অন্যতম পরিচালক জাওয়েদ চৌধুরীকে। এছাড়াও তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে শারমিন আবসার চৌধুরী, মোহাম্মদ আজিজুল কাদির, আবেদিন শাকিল, মাসুম আনসারী, ইয়াকুব আলী অভি, জাহেদুল ইসলাম, আবু বকর শাহেদ, তাহমিনা খায়ের নীলাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

প্রথাগত মেলার মত কাপড়, কসমেটিকস, জুয়েলারি, পণ্য ছাড়াও বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানও ছিল। মেলায় প্রবেশের মুখে ফুলের স্টল আগত দর্শনার্থীদের এনে দিয়েছিল প্রশান্তি। এছাড়াও কোভিডকালীন সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে করা সেল্ফি বুথ সবার নজর কেড়েছিল। এছাড়াও তিনদিনের মেলাতে বাংলাদেশ বিষয়ক কুইজে অংশ নিয়ে বই জিতে নিয়েছেন ৫০ জন দর্শনার্থী। মেলা নিয়ে আমার দারাজের সিএসআর প্রধান তানজিলা রহমান জানান, নারী উদ্যোক্তা ও নবীনদের পণ্য প্রদর্শনীর এ আয়োজনে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করেছি। আরো বেশি দেশীয় পণ্য ও ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তবেই আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।

নগরীর হোটেল পেনিন্সুয়ালায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় উদ্যোক্তা নিয়ে আয়োজিত তিনদিনের মেলা গত ২১ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।

এ ব্যাপারে মেলায় আসা দর্শনার্থী নওরিন ইসলাম জানান, বেশ গুছানো এ মেলায় ভালো মানের পণ্য পেয়েছি। বেশ কেনাকাটাও করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে এ মেলাতে বেশ স্বস্থিবোধ করেছি।

Advertisement