সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু চর্চা বাড়লেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চর্বিতচর্বণ হচ্ছে উল্লেখ করে সদ্য নিযুক্ত চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ইদানীং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন। তবে, তাঁকে নিয়ে গবেষণার জন্য তো ম্যাটেরিয়ালস লাগবে। মানুষ তো সেটা পাচ্ছে না। পুরনো জিনিসই বারবার চলছে।’ শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর অফিসিয়াল বায়োগ্রাফি প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে এই গবেষক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। যেকোন মূল্যে স্বদেশের মান সমুন্নত রাখতে হবে। পতাকা উড্ডিন রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহিত বছরব্যাপী কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আলোচনা সভায় প্রফেসর মুনতাসীর মামুন প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য ও আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে ও জেলা নির্মূল কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম, জেলা নির্মূল কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটি, কাতার-এর সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া, চবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জননেতা আমিনুল ইসলাম আমিনের সৌজন্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকসহ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীর হাতে “বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী” তুলে দেয়া হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-চবির সাবেক ডিন প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, চবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেনু কুমার দে, কেমিক্যাল এন্ড স্পোর্টসের সভাপতি প্রফেসর ড. এম এ মনছুর, পদার্থ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নঈম হাছান চৌধুরী, শিক্ষক প্রকাশ দাশগুপ্ত, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া, সহকারী রেজিস্ট্রার (তথ্য) মোহাম্মদ হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ তুহিন, সদস্য ইমাম ইমু, সংগঠনের জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবউল্ল্যাহ চৌধুরী ভাস্কর, আবদুল মান্নান শিমুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিথুন মল্লিক, আসাদুজ্জামান জেবিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সনেট চক্রবর্তী, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাবু, সদস্য আকতার হোসেন, মুক্তা জামান, কানিজ ফাতেমা, মো. আবদুল হাকিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, চবি ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি মো. মামুন, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের অর্থ সম্পাদক লাবীব শাহরিয়ার, সদস্য এ.জে.এম আবদুল মন্নান, ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন সুইট, সদস্য নবাব আব্দুর রহিম, চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সাদেক হোসাইন টিপু, মোশাররফ শাহ্, চবি সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সদস্য জুবাইর উদ্দিন, শাহ রিয়াজ, ইফতেখার ইসলাম, চবি ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, ফতেপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ওমর ফারুক, চবি ছাত্রলীগ সাবেক অর্থ সম্পাদক ফরিদুল আনোয়ার কাজল, চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক জিএস মো. দিদারুল ইসলাম রুবেল, ৮নং মেখল ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ ইছামিয়া, সরকারী কমার্স কলেজ সহ-সভাপতি রনি পাল, চবি ছাত্রলীগের সাবেক পাঠগার সম্পাদক আবু বকর মো. তোহা, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, চবি কর্মকর্তা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ রাকিব উদ্দীন, সাবেক সহ-সভাপতি মো. হাবিবুল বাশার, সাবেক সহ-সম্পাদক সুকান্ত রুদ্র প্রমুখ।
বাঙালির অনুপ্রেরণার আরেক নাম বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, যিনি অসাধারণ শুধু সাহসিকতার জন্য নয়, শুধু আপসহীনতার জন্য নয়, সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তির যে স্বপ্ন, তা তিনি হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন, একটি জাতির স্বপ্নকে তিনি তার নিজের স্বপ্ন বলে মনে করেছিলেন। পরাধীনতার নিগড় থেকে স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে হাত দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সভাপতির বক্তৃতায় শওকত বাঙালি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এ দেশ পেয়েছি। জাতির পিতাকে নিয়ে দেশবিরোধী কুচক্রি মহল, যারা পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে। বঙ্গবন্ধু এদেশে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপণ করেছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’