চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এফোর’ সাইজের কাগজের ঘোষণায় আনা আমদানি পণ্যের একটি চালানে পাওয়া গেছে বিদেশি সিগারেট। এক কন্টেইনার কাগজের আড়ালে লুকিয়ে এসব সিগারেট আনা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আনা এসব বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। চালানটিতে ২৪ হাজার ৯৯০ কার্টনে ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার শলাকা ওরিস ও মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট রয়েছে।
এই চালানে প্রায় ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) কাস্টমস সূত্র জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজ ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মায়ানীড়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় ওই সময় আমদানি পণ্যের বিল অব এন্ট্রি এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেয়। সোমবার (১৫ মার্চ) পণ্যের চালানটি পরীক্ষা করতে গিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লোকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুরো চালানটি কায়িক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইর জাবেল আলি বন্দর থেকে ‘এমভি এক্স-প্রেস নুপটেজ’ জাহাজে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসলেও পণ্য খালাসের লক্ষ্যে কোনো কার্যক্রম নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। কনটেইনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ। এছাড়া নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী প্যালেটগুলোতে ৪৮ কার্টনের মধ্যে উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্তর পর্যন্ত ৩৬টি কার্টন খুলে উপরে এক রিম এফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়। কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট। একইসঙ্গে ওই কনটেইনারে পাওয়া যায় ১৩ দশমিক ৭ টন এফোর সাইজের কাগজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, মিথ্যা ঘোষণা আমদানি করা এ চালানের মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। এ ব্যাপারে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।