চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশী মানবিক কর্তব্যবোধ পালন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সকল পরিবার লড়াই-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন তাদেরকে পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি এই মুজিববর্ষে গৃহহীনদের আবাসন সংস্থানসহ কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছেন এর পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১২ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। এমনকি করোনাকালে যখন বিশ্বব্যাপি অর্থনীতির চাকা স্থবির তখনও তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন।
এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সেই দিবসটিকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে কর্মসূচী চলাকালে ছাত্রলীগের মিছিলে কে বা কারা বোমাবর্ষন করলে সাড়ে ১১ বছর বয়সি উত্তম বিশ্বাস নামে এক স্কুল বালক নিহত হয়। এই বিয়োগান্তক ঘটনাটি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গোচরীভুত হলে ঐ বছরের ২৫ জানুয়ারী তিনি চট্টগ্রাম সফরে এলে ঐ পরিবারের পাশে দাড়ান এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিহত বালকের পিতা অমলকান্তি বিশ্বাসের কোন সন্তান যদি চাকরি উপযুক্ত হয় তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এই প্রতিশ্রুতির আলোকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে অমল কান্তি বিশ্বাসের দুই সন্তান সুলেখা বিশ্বাস ও মনোজ বিশ্বাসকে সিটি কর্পোরেশনে স্বাস্থ্য সহকারি ও কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। এই দুই জনের হাতে আজ বিকেলে চসিক মেয়র দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র তুলে দেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।