লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুরের চররমনীর ১ নং ওয়ার্ডে ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মোঃ ইসমাইল নামের এক ড্রেজার ব্যবসায়ীর ১টি শ্যালো ইঞ্জিন নিয়ে যায় ও ২০ টি পাইপ ভাঙচুর করে এবং আরো দুইটি শ্যালো ইঞ্জিন পানিতে ফেলে দেয়।
সদর মডেল থানায় মোঃ ইসমাইল দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে- চররমনীর ১ নং ওয়ার্ডের জনৈক মনিরের ফিসারিতে চরকাচিয়া গ্রামের জালাল আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ভরাটের কাজ ধরেন। এতে একই এলাকার অপর বালু উত্তোলন ড্রেজার ব্যবসায়ী গফুর গোলদার দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, নইলে ওই এলাকায় কাজ করতে দেয়া হবে না বলেন হুঁশিয়ারি দেন ইসমাইলকে।
মোঃ ইসমাইল চাঁদা না দেয়ায় গফুর গোলদারের জেঠাতো ভাই একই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক মেম্বারকে দিয়ে সদর থানায় অভিযোগ করে দুইটি শ্যালো ইঞ্জিন পানিতে ফেলে দেয়, একটি শ্যালো ইঞ্জিন নিয়ে যায় ও অপর ২০ পাইপ ভেঙে চুরমার করে। এতে মোহাম্মদ ইসমাইল এর প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে গফুর গোলদার চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন-‘ইসমাইল আরেক এলাকার ড্রেজার ব্যবসায়ী হয়ে আমার এলাকার চুক্তিতে বালু উত্তোলন করে। বালু তোলার কাজটা আমারে দেয়ার কথা ছিল, তার কারণে আমি বালু তোলার কাজ পাইনি।’
স্থানীয় খালেক মেম্বার বলেন-‘আল্লাহর কসম করে বলছি আমি ইসমাইলের পাইপ ভাবিনি। মেশিন পানিতে ফেলে দেয়া, পাইপ ভাঙ্গার দেয়ার ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন- রাত দুইটা পুলিশ এসে তা ভাঙচুর করেছে।’
সদর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ও ক্ষতিগ্রস্ত ইসমাইল দায়েরকৃত এজাহারের তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী বলেন-‘এ বিষয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। দু’পক্ষের মুরুব্বিরা সমাধান করা হয়েছে। আপনি ইসমাইলের সাথে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াকুব বলেন-‘কবে বৈঠক গেছে, কবে মিটিং হয়েছে তা বলতে পারবো না। মুরব্বিদের সাথে কথা বলে জানা যাবে।’
সি নিউজ/আকাশ