চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আবির্ভাব ঘটেছিল। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আজকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের কোন অবদান নাই তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখছে। ভোট ডাকাতির মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ডাকাতি করছে সরকার।
তিনি রোববার (২১ মার্চ) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আগামী ২৭ মার্চ শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনার স্মৃতি বিজড়ীত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচী পালন করা হবে। এই কর্মসূচীতে বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। তাই ২৭শে মার্চের কর্মসূচী সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর জাতি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এখন নাই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। এর থেকে আমাদের উত্তোরনের পথে বের করতে হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য শামসুল আলম, হারুন জামান, হাজী মোঃ আলী, মাহাবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, শ্রমিক নেতা শেখ নুর উল্লাহ বাহার, শামছুল আলম (ডক), থানা বিএনপির সভাপতিবৃন্দ মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মো. সালাউদ্দিন, ডাঃ নুরুল আফসার, সরফরাজ কাদের রাসেল, মোঃ আজম উদ্দিন, মোঃ সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নূর হোসেন, শরিফ উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান, আবদুল কাদের জসিম, মোঃ জাহাঙ্গির আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, তাতী দলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, নবাব খান, কাজী শামছুল আলম, হাজী মো. ইলিয়াছ, মোশারফ জামান, মোঃ ইলিয়াছ, ইলিয়াছ চৌধুরী, আশরাফ উদ্দিন, জানে আলম জিকু, খাজা আলাউদ্দিন, মোঃ সাইফুল আলম, মোঃ আসলাম, খন্দকার নুরুল ইসলাম, আলি আব্বাস খান, মোঃ বেলাল, শরিফুল ইসলাম, মো. আজম, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মো. শফিউল্লাহ, মনজুরুল কাদের, আনোয়ার হোসেন আরজু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, মামুন আলম, আশ্রাফ খান, এস এম আজাদ, আবু সাঈদ হারুন, এম এ হালিম বাবলু, হাজী মো. এমরান, জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ আবুল বশর, মোঃ হাসান, মনজুর মিয়া, ইয়াকুব চেধৈুরী নাজিম, সাব্বির আহমদ, জসিম মিয়া, হাজী মো. জাহেদ প্রমুখ।