কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ আর এস সিট অনুযায়ী মহানগরীর সকল খাল উদ্ধার করা হবে: ডিসি

235

কর্ণফুলী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সেই সাথে ঢাকার আদলে উচ্চ আদালতের র্নিদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রামের ৭১ টি খাল আর এস সিট অনুযায়ী জরিপ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করবেন বলে তিনি জানান।

Advertisement

আজ দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব হলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, অবৈধ দখলদার যতই শক্তিশালী হোক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্চ আদালতের একটা নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। উক্ত নির্দেশ পাওয়ার পট অনতিবিলম্বে মনোহরখালী থেকে বা বাকলিয়ারচর পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

প্রেসক্লাবে মত বিনিময় কালে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মহানগরীর সকল খাল আর এস জরীপ অনুযায়ী চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তীতে জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে।
২০১৬ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কতৃর্ক (স্বারক নং০৫.৪২.১৫০০.৩০২.২০.২৩৯.২০১৯.১৯৬১. তারিখ ২০/১২/২০১৯খ্রিঃ)১ নং খতিয়ানের ৮৬৫১ দাগের ৩০ একর নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকারী ৪৭ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের সময় দিয়ে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করে।

উক্ত নোটিশ পাওয়ার পর ৪৭ নম্বর বিবাদি বাংলাদেশ জাতীয় মৎস সমবায় সমিতি লিঃ বিগত ২২/১২/২০২০ তারিখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে উচ্ছেদ নোটিশ প্রত্যাহারের একটি আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান উক্ত আবেদন প্রত্যাহার করায় বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে আপিল করেন।

উক্ত আপিল আবেদনে সরকারি রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রদান করা হয়নি। যে কারনে আবেদনটি যথাযথ ভাবে উপস্থাপন হয়নি বলে আপনার কার্যালয় থেকে জানা যায়। আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষা না করে জাতীয় মৎসজিবি সমবায় সমিতি হাই কোর্টে রিট পিটিশন (নং ৭২০/২০২১) দায়ের করেন। উক্ত রিট পিটিশনে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সহযোগীতায় এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ ও পাঁচজন সরকারি এএজি দীর্ঘ শুনানি করেন।

শুনানি পরবর্তী বিগত ২৫/২/২০২১ খ্রিঃ মাননীয় বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও এস এম মনিরুজ্জামান এর আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে কৃত আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বাকলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ প্রদান করেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement