করোনায় আক্রান্ত হয়ে সত্তর দশকের কবি ও প্রখ্যাত শিল্পী খালিদ আহসান (৬২) রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, জামাতা এবং অসংখ্য আত্মীয় স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের চান্দঁগাও আবাসিক এলাকার বি ব্লক জামে মসজিদে এবং বাদ জোহর কদম মোবারক জামে মসজিদে নামাজে জানাজা হবে। এর আগে দুপুর ১২ টায় সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন চেরাগী পাহাড় এলাকায়।
একথা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু।
পারিবারিক সূত্র জানায়, করোনায় আক্রান্ত খালিদ আহসানকে প্রথমে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
খালিদ আহসান দেশের প্রখ্যাত প্রচ্ছদ শিল্পী। রেনেসাঁ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাঁর স্ত্রী চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পী, কবি ও ফ্যাশন ডিজাইনার আইভি হাসান। তাঁরা দুজনেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘ডলস হাউজ’।
শিল্পী ও কবি খালিদ হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
খালিদ হাসানের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে বাবা ডা. মো. মোবিনুল হক ও মা মোহসেনা বেগম। তাঁর সম্পাদিত ছোট কাগজ চোখ (১৯৭৮) ও বুলেট (১৯৭২)। খালিদ আহসানের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ঝিঁঝিঁর কনসার্ট (২০১৯), বর্ণ, চক্ষু, অন্তঃকরণ (২০১৪), কলম লিখেছে কবিতা আমি তার প্রথম শ্রোতা (২০১৪), এনেসথেসিয়া (২০১০), পৃথিবীর শিরা-উপশিরা (২০১২), তোমাকে পানকৌড়িকে (২০০৮), মন্দলোক ও কাঠের ঘোড়া (২০০৪) ও শীতের কফিন থেকে উৎসারিত মানিপ্ল্যান্ট (২০০১)।