গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলের পাশে বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৪ জনের রায় ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায়ে এই আদেশ দেন।
রায়ে আদালত বলেন, ‘একটি ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো। নির্দেশ মোতাবেক তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোনো অসুবিধার কারণ থাকলে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
আদালত আরও বলেন, ‘দণ্ডবিধির ১২১/৩৪/১০৯ ধারায় চরম দণ্ড প্রদান করায় দণ্ডবিধির ১২১ এর ‘ক’, ১২২/১২৪ এর ‘ক’ ধারা মতে আর কোনো দণ্ড দেওয়া হলো না।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন- মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা ধরা পড়ে। পরদিন ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-২ ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে।
আলোচিত এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২১ এর ‘ক’, ১২২/১২৪ এর ‘ক’ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।