চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালনেও আওয়ামী লীগ বাঁধা দেওয়ার পায়তারা করছে। নেতাকর্মী আর প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর পোগ্রাম বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মুখে গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার কথা বললেও আওয়ামী লীগের বাকশালী চরিত্রের এখনো পরিবর্তন হয়নি।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোর আগে সরকারের প্রত্যক্ত মদদে প্রশাসনসহ নানা সংগঠনকে ব্যবহার করে সড়ক ও নৌ-পথ বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জনমানুষের স্রোত দেখে তারা দিশেহারা হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করছে। বিএনপি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে চাচ্ছে, তখনই তারা তা দমনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। করোনার অজুহাতে দেশের কোথাও সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও চট্টগ্রামে প্রশাসনকে ব্যবহার করে সভা-সমাবেশের উপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের অফিস তথা আদালত এলাকায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলেও সেখানে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি, আদালত পাড়া বন্ধ হয়নি। সকল ষড়যন্ত্র আর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী কর্মসূচি পালন করা হবে।
হুমকি দিয়ে, প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারে না। ১৯৭১ সালে এদেশের জনগণ যেভাবে মানুষ মুক্তির জন্য লড়াই করেছে ২০২১ সালেও সেভাবে লড়াই করে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করবে। ২৭ তারিখই কোন বাঁধা আসলে সেখানেই তার প্রতিরোধ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে কাজীর দেউড়িস্থ নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধাঞ্জলী কর্মসূচি সফল করার লক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার সূবর্ন জয়ন্তীর বর্ষে এসেও সাধারণ মানুষ এখনো পরাধীনতার শিকলে বন্ধী। সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্বৈরাচারী সরকার দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় পরিচালনা করছে। আগামী ২৭ মার্চ শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন যে কর্মসূচি তাতে সফল করার জন্য শ্রমিক দল সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে মাঠে থাকবে। কোনো বাঁধা নিষেধ আমরা মানবো না। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহসভাপতি শামসুল আলম, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি তাহের আহমদ, মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, শ্রমিক নেতা শফিকুর রহমান মজুমদার, আবু বক্কর সিদ্দিকী, মহিন তরুণ, মো. নাছির, মো. হারুন, মুজিবুর রহমান, মো. সিদ্দিক, আবু সাঈদ হারুন, মো. আলতাফ, আবদুল মন্নান, আতিকুর রহমান, নুরুন নবী, মো. ইউনুছ, মো. বিপ্লব, মো. ফরিদ, আবদুল বাকের, ওমর ফারুক, জামাল উদ্দীন, আবদুল আজিজ, আতাউর রহমান, অপু সিং, মো. সাগর, নারগিছ আলম, আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ।