বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থ আওয়ামী সরকার বিরোধী শক্তিকে নির্মূলে পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করছে। জনসমর্থন হারিয়ে তারা রাষ্ট্র যন্ত্র নির্ভর। বিরোধী দল ও মতকে দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। জিয়া পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রতিক। জনগণই বিএনপির মূল শক্তি, কারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার
তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। লুটেরা ফ্যাসিবাদী অপশক্তি।তাই বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার দাবানল ছড়িয়ে দিয়েছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা রুখা যাবেনা। অচিরেই তিনি ফিরে এসে দেশের মানুষকে মুক্ত করবেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন।
তিনি আজ ২৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকালে কাজীর দেউড়ী নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের
কোঠায়। পেঁয়াজ, চাল, লবণসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বোগতিতে জনগণ দিশেহারা। সরকারি দলের অসাধু কালোবাজারী সিন্ডিকেট সংকট সৃষ্টি করে মুনাফার নামে জনগণের পকেট চুরি করছে। শেয়ার বাজার, ব্যাংক ডাকাতী ও লুটপাটের কারনে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। তারা দেশকে’৭৪ সালের ন্যায় তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তাই আওয়ামী জুলুমতন্ত্র ও লুটপাট দুর্নীতি থেকে জনগণের মুক্তির জন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমান কে দেশে ফিরিয়ে আনা একান্ত প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া জনগণের মুক্তি হবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে পরাজিত হলে নির্ঘাত মৃত্যু জেনেও সেদিন দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। স্ত্রী-সন্তানদের জীবন বিপন্ন হতে পারে জানা সত্বেও তিনি মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার জন্য নিজ নামে জেড ফোর্স গঠন করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিরত্বপুর্ণ অবদান রাখেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হলে লাল সবুজের পতাকায় শোভিত স্বাধীন দেশে তিনি পুনরায় সেনাবাহিনীতে ফিরে যান। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আওয়ামী সরকার জিয়াউর রহমান এর অবদানকে নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির অপচেষ্টাই লিপ্ত। তার খেতাব বাতিলের মত চরম দুঃসাহস প্রদর্শন করছে। যা এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ মেনে নিবেনা। সরকার অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। অন্যথায় জনগণকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার , হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, হারুন অর রশিদ,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, জসিম উদ্দিন রকি,এম.আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, আবু নাঈম মোঃ দুলাল , সাজ্জাদ হোসেন,এম.এ হানিফ, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, মনির হোসেন, জাকির হোসেন, ইমদাদুল হক স্বপন, মোঃ হাসান, নিজাম উদ্দিন বুলু, মফিজ উদ্দিন সুমন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, মোঃ লিটন, মিজানুর রহমান সাইফুল, ইকবাল হোসেন রুবেল, শাজাহান বাদশা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য লুৎফর রহমান জুয়েল, নুর আলম ,সহ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জহির ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ পাটোয়ারী, মোঃ বাকের, জাকির হোসেন মিশু, মোঃ রনি, হোসেন কালাম, মোঃ পারভেজ, কার্যকরী সদস্য মোঃ রুবেল, মোঃ জাবেদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।