চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেছেন, উগ্র মৌলবাদের হোতা নরেন্দ্র মুদি’কে এনে স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। দীর্ঘ নয় মাসের সেই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ বাঙালির জীবন ও দুই লাখ বাঙালি নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের গর্ব। আর মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সর্বশ্রেষ্ঠ ইতিহাস। এই ইতিহাস ঘিরে প্রাপ্ত বিশ্ব মানচিত্রে অঙ্কিত বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই চিরকাল। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাকারী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। তাকে বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচারের একটি সংগঠিত ঘৃণ্য অপতৎপরতা জাতি গভীর ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। সরকার প্রধান কর্তৃক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে বিকৃত করার মাধ্যমে সে অপচেষ্টা নতুনভাবে শুরু করেছে। এখন আর বর্তমান সরকারের কোনো রাজনীতি নেই। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অপরাজনীতিতে নেমেছে। নরেন্দ্র মোদিকে এনে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্ট চলছে, বাংলার জনগণ তা কখনো হতে দেবে না।
তিনি আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম’র স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বর্ণাঢ্য র্যালী উত্তর এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উক্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, জনগণের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ লুট হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন জেঁকে বসেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে উগ্রতা। সংবিধান থেকে বাংলাদেশ বহু দূরে সরে এসেছে। ভুল পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। একাত্তর সালে আমরা যে গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, গত ১২ বছর ধরে বর্তমান সরকার সেই চেতনাকে হিমাগারে পাঠিয়েছে। সেই চেতনাকে বিনষ্ট করে দিয়ে তারা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ক্ষমতাসীনরা এই মিথ্যাচার করে ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টয় লিপ্ত হয়েছে। এদেশের জনগণ তা কখনো সফল হতে দেবে না। তিনি বলেন, একদিকে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য অপারেশনের নাটক করবেন, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে জঙ্গিবাদের কারখানা করবেন, সেটা হতে দেওয়া হবে না।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মোঃ হারুন, অরুপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, ইকবাল পারভেজ, আবদুল হামিদ পিন্টু, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, রাজন খান, ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাঁচা, জাফর আহমেদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, এডভোকেট নাজমুল হাসান, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, সাহেদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন টুনু, গুলজার হোসেন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, আশরাফ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, ইব্রাহীম খান, হোসেন উজ জামান, সাইদুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস, দেলোয়ার হোসেন, জাহেরী মাসুদ, সদস্য লতিফুর বারি সুমন, আজিজ চৌধুরী, আবদুল করিম, সাখাওয়াত কবির সুমন, থানা যুবদলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, মোর্শেদ কামাল, আইয়ুব খান, মোঃ সেলিম, শফিকুর রহমান, ইকবাল হোসেন মিলন, ইউনুছ মুন্না, মোঃ মিল্টন, ওবাইদুল হক, বাবুল হোসেন বাবু, ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ড যুবদলের আবু বক্কর বাবু, জাবেদ হোসেন, সাহবাজ উদ্দিন,বাদশা আলমগীর, মোহাম্মদ ইউনুছ, জহিরুল ইসলাম, মোঃমুজাহিদ, মেহেদী হাসান রানা, শাহাদাত হোসেন রাসেল খান, সাইফুল ইসলাম, মাসুদ আলমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।