স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম, বি-বাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের ওপর আওামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের নারকীয় হামলা এবং হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল-চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত এক বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা আজ পরাধীনতার গ্লানি বহন করছি। সরকার নাগরিকদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানবাধিকার ও কথা বলার স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। সব জায়গায় দলীয়করণ করা হয়েছে। দেশের মানুষ সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনেই সাধারণ মুসল্লীদের আন্দোলনে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা জাতিকে হতবাক করেছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই। যে রাজনীতির লক্ষ্য মানুষ হত্যা করা, তা কখনো জনগণের রাজনীতি হতে পারে না। আজকাল ভেবেচিন্তেই মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের নামে কিছু খুনিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের মূল লক্ষ্য হত্যা করা, এ অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আওয়ামী জাহেলীয়তের কবল থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা শুধুমাত্র একটি গোষ্ঠী কিংবা দলের নয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে স্বাধীন দেশে নিরীহ জনগণকে পাখির মত হত্যা করে সরকার স্বাধীনতাকে কলংকিত করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে রক্তাক্ত বাংলাদেশ স্বাধীনতার সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। সীমান্তের কাঁটাতারে দেশের জনগণের লাশ ঝুলে, ভারত আমাদের পানির প্রাপ্য হিস্যা দেয় না। তবুও দাসত্ববাদী সরকার বিদেশী প্রভুকে দেশে এনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করছে আর নিজ দেশের জনগণের উপর আইনশৃংখলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। তাই ফ্যাসিষ্ট, তাবেদারী সরকারকে হঠাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মোঃ হারুন, মোহাম্মদ আলী সাকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনউদ্দিন রাশেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, মোহাম্মদ ইয়াসিন, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগির, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাহউদ্দিন শাহেদ, মোহাম্মদ নওশাদ, আতিকুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মাহবুবুর রহমান, জিএম সালাহউদ্দিন কাদের আসাদ, মাষ্টার আরিফ, আরিফুর রহমান মিঠু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, ইমরান চৌধুরী বাবলু, ইমদাদুল হক স্বপন, মোখলেছুর রহমান, ইসহাক খান, মোঃ লিটন,মোঃ হিমেল, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, মোঃ সুমন, শাজাহান বাদশা, আকবর হোসেন মানিক, মো: জসিম উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, মোঃ আনাছ, মো: জাহেদ হোসেন খাঁন জসি, মোঃ নুর নবী মহররম, নুর জাফর রাহুল, আবু কাউসার, জহির ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ পাটোয়ারী, জাকির হোসেন মিশু, সাইদুল ইসলাম, শেখ কামাল আলম, জসিম উদ্দিন, আবদুল আল মামুন, আজিজ চৌধুরী, শওকত খান রাজু, মোর্শেদ কামাল, শাহরিয়ার আহমেদ, আল মামুন সাদ্দাম, কামরুল হাসান আকাশ, মোঃ এনামুল হক এনামসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।