স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীতে ঢাকাসহ সারাদেশে নৃশংশ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল সারাদেশে থানায় থানায় কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচী পালন করছিল। এর অংশ হিসাবে চাঁন্দগাও থানা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল রবিবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩ টায় বহদ্দারহাট মোড় থেকে মিছিল বের করে আরাকান সড়কের বালতী কোম্পানি মোড়ে গেলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে ৮/১০ জন নেতা কর্মীদের আহত করেছে।
মারাত্মক আহতরা হলেন চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান রনি, যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুজ্জামান, যুবদলনেতা মো. আজম, নুর মোহাম্মদ। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে দেশবাসী যখন স্বাধীনতা দিবস পালন করছে তখন অন্য দিকে এই অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাজপথ রক্তাক্ত করেছে। ঐদিনে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় শত শত সাধারণ মুসল্লিদের মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত করেছে। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশের নৃশংশ হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৭ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। এই হতাহতের ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বহদ্দারহাটে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মিছিল সমাবেশ ও সভা অনুষ্ঠান করা আমাদের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার। এই জঘণ্য হামলার মধ্য দিয়ে সরকার তাদের ফ্যাসীবাদী খুন, গুম নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দল এবং ভিন্নমতকে দমন করে চলেছে। সকল রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে কর্তৃতৃবাদী শাসন চিরস্থায়ী করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকান্তরে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মহান স্বাধীনতা দিবসে ৫০ বৎসর পূরনের এই সময়ে এই হামলার ঘটনা জাতির জীবনে এক কলংকজনক অধ্যায়।
নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।