কক্সবাজারের চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানসহ দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার রাতে এক ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ঘুষের ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করেছে দুদকের আভিযানিক দল।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়- চট্টগ্রাম এর সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীন জানান, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে ১ এপ্রিল দুদকের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের শুরুতে অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া ও অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পালের টেবিলের ড্রয়ার থেকে পৃথকভাবে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা ও এক লাখ ৬০ হাজার করা জব্দ করা হয়। এরপর একইভাবে সাব- রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামানের ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়াল তল্লাশি করে জব্দ করা হয় এক লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা।
জব্দকৃত টাকাগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্য দুই কর্মচারী। তাই টাকাগুলো ঘুষ লেনদেনের বলে দুদক দলের সাথে প্রতীয়মান হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাব- রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর উপজেলা গুরুদাশপুর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র, অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পাল কক্সবাজার সদরের খুরুশ্কুলের মধুরামের পুত্র এবং পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া দীনবন্ধুর পুত্র।
দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঘুষ লেনদের মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ ছিলো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘুষ লেনদের ৬ লাখ ৪২১০০ টাকা জব্দ করা হয় এবং ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায় অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া।
তিনজনকে এজাহারভুক্ত করে ঘুষ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ।