সীতাকুণ্ড মডেল থানা পাহারায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা

177

কামরুল ইসলাম দুলু: দেশের বিদ্যমান অস্থিরতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে থানা, গির্জা, মন্দির পাহারা দিচ্ছে বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সারাদেশে অরাজকতা দেখা দেয়। ক্রোধে থানায় হামলা করা হচ্ছে। আর এ হামলা থেকে রক্ষা করতে সীতাকুণ্ড মডেল থানা রক্ষায় পাহারা দিচ্ছেন তারা। শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবরে আনন্দে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় সীতাকুণ্ডে।

Advertisement

এ সময় জনরোষ থেকে থানায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে থানার গেট পাহারা দিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন জামায়াত- বিএনপির নেতারা। এসময় শত শত নির্যাতিত মানুষ রাগে ক্ষোভে থানায় হামলা করার চেষ্টা করে। তারা থানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। চারিদিক থেকে দফায় দফায় আসা বিশাল মিছিলের আক্রমণ থেকে থানা ও পুলিশকে বাঁচাতে হিমশিম খেতে দেখা যায় তাদের। গেট থেকে তাদের সরিয়ে একাধিকবার থানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টাও করে মিছিলকারীরা। তবে শেষ পর্যন্ত থানা এবং পুলিশদের রক্ষা করতে সক্ষম হন তারা।

সীতাকুণ্ডের জামায়াতে ইসলামী নেতা অ্যাডভোকেট হুসাইন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, ” সীতাকুণ্ড থানায় কর্মকর্তাদের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। তাদেরকে তাদের কার্যক্রম এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য আশ্বস্ত করেছি। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীরা রাত জেগে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ধর্মীয় প্রার্থনালয় ও সাধারণ জনগণের জান মাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোন লুটপাট কারী যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করতে না পারে সেদিকেও আমাদের কর্মীরা সজাগ রয়েছে।”

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, “প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আমাদের। এ দেশ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। শেখ হাসিনার পতনের বিজয় উল্লাস প্রমাণ করে দেয় মানুষ কত কষ্টে ও জিম্মি ছিল। সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই। প্রতি রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের জানমাল, মন্দির ও গির্জা পাহারা দিচ্ছে।”

Advertisement