জুমায় শহীদদের জন্য দোয়া, দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা

17

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় স্বস্তি নেমে এসেছে জনসাধারণের মধ্যে। কেউ কেউ এটাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। প্রায় ১৬ বছর পর ক্ষমতার পালাবদলে জুমার নামাজে বিভিন্ন মসজিদে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে কোটা আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া আগামী দিনে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা যেন বজায় থাকে সেজন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রায় প্রতিটি মসজিদে আজ ছিল ভিন্ন চিত্র। অন্য জুমায় খতিবদের বয়ান করতে হতো অনেক ভেবেচিন্তে। বয়ানের কারণে ক্ষমতাসীন দলের রোষানলে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে অহরহ। তবে আজ ছিল না কোনো বিধিনিষেধ কিংবা কোনো ধরনের শঙ্কা। খতিবরা মন খুলে তাদের খুতবা দিতে পেরেছেন।

আজ বেশির ভাগ মসজিদে জুমার নামাজপূর্ব আলোচনায় সরাসরি কিংবা আকারে ইঙ্গিতে অত্যাচারী শাসকের পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। জনগণের ওপর জুলুম করলে পরিণতি ভালো হয় না সেটা খতিবরা স্মরণ করিয়ে দেন।

রাজধানীর বেশির ভাগ মসজিদের কমিটি ছিল ক্ষমতাসীন দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর তাদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। এজন্য আজ কোনো মসজিদেই আওয়ামী লীগ লোকদের দাপট ছিল না। কোথাও কোথাও ইতোমধ্যে বিএনপিপন্থীরা পাল্টা কমিটি করেছেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও আজ ছিল ভিন্ন চিত্র। ক্ষমতার পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও পাল্টে যায় বয়ানের ধরন। আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ দেওয়া খতিব মুফতি রুহুল আমীন আজ নামাজ পড়াতে আসেননি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাওলানা আবদুল্লাহ আজ জুমা পড়িয়েছেন।

Advertisement