বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পেশাদার সাংবাদিকতাকে দাফন-কাফন করে কবরস্থ করেছেন, তাদের অবশ্যই একটি হিসাব-নিকাশ হওয়া উচিত। আমরা যদি পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারতাম, তাহলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো জায়গার সাধারণ সম্পাদক কেন একেকবার একেক সীমান্তে ধরা পড়েন? আমরা যারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকি, তাদের জন্য এটি লজ্জার বিষয়। আগামীতে আর যেন এমন সাংবাদিক তৈরি হতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এম আবদুল্লাহ বলেন, আজ আমরা যে মুক্ত পরিবেশে কথা বলছি সেটির জন্য অনেকেই জীবন দিয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে একদিনে একক জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ শহীদ হয়েছে এই ফেনীতে। তাদের শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়েই মূলত এ মুক্তি লেখা হয়েছে। এটি সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ফেনীতে যেদিন নয়টি লাশ পড়ল, তার পরের দিনই বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। সেদিনের ঘটনা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল। যারা এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল, আজকে তারা কোন গর্তে পলায়ন করেছে?
এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকতার উর্বর ভূমি ফেনী। সেই ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা কতটুকু ভূমিকা পালন করেছি। আত্মসমালোচনা করলে আমিও হয় তো যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারিনি।
দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আরিফুর রহমানের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের, দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এ সময় ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।