চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে চবি উপাচার্য কর্মচারীদের অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। উপাচার্য বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় আপনাদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও সততা অতি প্রয়োজনীয় ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দেড় টায় চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চবি কর্মচারী ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় উপাচার্য এ আহ্বান জানান।
উপাচার্য বলেন, চল্লিশ বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি। আমরা সবাই একই পরিবার, সবাই মিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে আপনাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্য বলেন, কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। আপনাদের যেকোনো যৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও উন্নয়নমূলক প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনায় নেবে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্মপরিবেশ উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে আমরা সবাই একই পরিবার হয়ে একযোগে কাজ করব, এটাই সকলের প্রত্যাশা।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, কর্মচারীরা হচ্ছেন এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সহযোগী। বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল রাখার জন্য তারা দিন-রাত কাজ করে থাকেন। তিনি কর্মচারীদেরকে সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে দায়িত্বপালনে সর্বোচ্চ সততা, সচ্চতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। মাননীয় উপ-উপাচার্য কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান এবং ন্যায্য দাবি-দাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমিত সম্পদের মধ্যে যতসম্ভব পযার্য়ক্রমে পূরণের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজাতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সাধারণ সভায় সভাপত্বি করেন চবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোছাইন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে চবি কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।