ডিসি পার্কে তারুণ্যের মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব

তরুণদের অদম্য সাহস ও রক্তের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ : জেলা প্রশাসক

61

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, যুদ্ধে জয় লাভ করবে সে প্রত্যাশা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুনদের মাঝে ছিল না। প্রতিনিয়ত তারা ছুটেছিল অজানা গন্তব্যের দিকে। জীবন দেওয়ার জন্য তারা রাস্তায় নেমেছিল। তরুণদের সে সাহস সারা বাংলাদেশকে সাহসী করে তুলেছিল, সাহসী করে তুলেছে আমাদেরকে। তাদের অদম্য সাহস ও রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ। তরুণদের নিয়েই আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

Advertisement

আজ ১৫ জানুয়ারী বু্ধবার সন্ধ্যায় ফৌজদার হাটের দক্ষিণ পাশ্বর্স্থ ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত তারুণ্যের মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সকলের সানুগ্রহ উপস্থিতি ও জোড়ালো সহযোগিতা পার্কটিকে আরো বেশি নির্মল আনন্দের জায়গায় রূপ দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণ সমাজকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সঙ্গাতমুক্ত অনুরোধ জানান।

পার্কটির নাম কেনো ডিসি পার্ক রাখা হলো এক সমন্বয়কের সে প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, একসময় এই জায়গাটি ছিল মাদকের অভয়ারণ্য, ছিলো মাদকসেবীদের দখলে।অবৈধভাবে ইট ভাটার মাটি কাটার জন্য সেখানে গাছ উঠতে দেওয়া হতো না। পরে জেলা প্রশাসনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতায় মাদকের অভয়ারণ্য খ্যাত জায়গাটি মাদকসেবিদের হাত থেকে দখল মুক্ত হয়। যেহেতু পার্কটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আবার জায়গাটি সরকারের খাস জায়গা। সে জন্য পার্টিকে ডিসি পার্ক নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আগামীতে যদি সময় ও সুযোগ হয় নির্মল আনন্দের এই চমৎকার জায়গাটিকে অন্য কোন নামে নামকরণ করা যায় সেটা ভেবে দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।
দেশি-বিদেশি ১৩৬ প্রকারের লক্ষাধিক ফলের চারা দিয়ে ডিসি পার্কটিকে ফুল উৎসব উপলক্ষে সাজানো হয়েছে। বিদেশি ফুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টিউলিপ, লিলিয়াম, ম্যাগনোলিয়া, ক্যামেলিয়া ফুল। দেশি ফুলের মধ্যে রয়েছে ১৫ প্রজাতির গাঁদা, জবা, কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুল।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: নোমান হোসেনেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) একেএম গোলাম মোরশেদ খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে. এম. রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ছাত্র সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর, সমন্বয়ক মো: নোমান, ছাত্র আন্দোলনে আহত আবদুল্লাহ আল শাহেদ, সমন্বয়ক এনামুল হক ও জোবায়েরুল হক, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আন্দোলনের অন্যতম প্রবাসী হাফেজ মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন বক্তৃতা করেন। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য ছাত্র, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুধীজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আগে ও পরে একক বাউল সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

Advertisement