চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে এলামনাইর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় চবি জারুল তলায় অনুষ্ঠিত প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ মন্তব্য করেন।
প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবি’র সভাপতি জামাল মোস্তাফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মোঃ নাসির এর সঞ্চালনায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য শওকত আলী নুর ও চবি বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাখাওয়াত হুসাইন।
উপাচার্য তার ভাষণে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবির এলামনাইবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নান্দনিক ক্যাম্পাসে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এলামনাইরা হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বেসেডর। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের টানে এ ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যাম্পাসে এসে তারা আবেগ-আপ্লুত হয়ে যান এবং তাদের শিক্ষাজীবনের নানা স্মৃতি ভেসে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ এর গণআন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীরা এদেশ সংস্কারের যে অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, তা আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইসহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উপাচার্য দায়িত্বগ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বিনা পয়সায় বিভিন্ন সেবা প্রদানে তার প্রশাসন ইতোমধ্যে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে একাডেমিক ও শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানব সম্পদে রূপান্তরিত হয়ে গড়ে ওঠতে হবে। তিনি এলামনাইদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সবসময় খোলা থাকবে মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চবি’র পুনর্মিলনী ২০২৫ এর দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আলোচনা পর্ব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া কার্যক্রম, র্যাফেল ড্র, স্মৃতিচারণ, আড্ডা ও পুরষ্কার বিতরণ।