হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে হাটহাজারী মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করে পিবিআই টিম।
বিভাগীয় পুলিশ সুপার (পিবিআই) মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত দলে ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) নাজমুল হাসান। সঙ্গে ছিলেন হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা হাটহাজারী মাদ্রাসা, ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালে সেখানে সংশ্লিষ্ট যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমে কথা বলবো।
উল্লেখ্য, হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম ও কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মরহুমের শ্যালক বাদী হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে আলোচিত ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আদালত এক মাসের ভেতর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, মামলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।