রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশের আগে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির রমনা জোনের এসি শেখ মো. শামীম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে অনেককেই ছেড়ে দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া যাদের নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
শনিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) প্রেসক্লাবের সামনে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একপর্যায়ে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নিয়ে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সমাবেশের শুরুতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের বীরত্বের স্বীকৃতি বীর উত্তম খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সেটা আল-জাজিরার ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যর্থ চেষ্টা।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আঘাত আসলে প্রতিহত করতে হবে, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান তিনি।
তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনের পথে যে কোনো বাধা প্রতিহত করতে লড়াই করতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা প্রধানমন্ত্রীর আশপাশেই। তাদের পুরস্কৃত করেছে সরকার। ক্ষমতার জন্য পিতার প্রতি সম্মান দেখাননি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভাষণ দিয়ে নয়, যুদ্ধ করেই বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার খেতাব নিয়ে ব্যবসা করে না বিএনপি, গর্ব করে।
সমাবেশে রিজভী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমানুল্লাহ আমান এবং ইশরাক হোসেনসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা।