বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বের মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি যুগে যুগে স্বাধীনতার নিরন্তর আইকন এবং ক্যারিশমাটিক নেতা। বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন আমাদের ইতিহাস। আমাদের স্বপ্নের সৌরভ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে আজ সকাল ১০ টায় এম. এ. আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্ষুদে মুজিবদের ৭ই মার্চের ভাষনের শিশু উৎসব ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও কংকন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো সলিম উল্লাহ বাচ্চু, শহিদুল আলম, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নাজমুল হক ডিউক, জোব্ইাদা নার্গিস খান, আফরোজা কালাম,প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্র্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, শিক্ষক আলী আকবর, সিবিএ নেতা মোহাম্মদ ইয়াছিন।
চসিক মেয়র বলেন আমরা যারা রণাঙ্গনে ছিলাম এবং অস্ত্র হাতে হানাদার বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর এ ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল আমাদের জন্য যুদ্ধ জয়ের মন্ত্রনা। তিনি আরো বলেন বাঙালির ইতিহাসে তীতুমীর, হাজী শরিয়ত উল্লাহ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী সহ অনেক নেতাই জাতিকে মুক্তি দিতে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা সফল হতে পারেন নাই পরিপুর্ণভাবে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্ন পূরণে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করে মহানায়কের আসনে অলংকৃত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিনে কেক কাটা ও বেলুন উড়িয়ে জম্মদিন উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্ষুদে মুজিবদের (১০০ জন মুজিব পোশাক পরিহিত ছাত্রছাত্রীদের) পক্ষে ভাষন প্রদান করেন ক্ষুদে মুজিব আব্দুল্লাহ আল সোহান। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয়।