ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো (প্রধান) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আগে আমাকে মারত সিপিএম, আর এখন মারে বিজেপি।’
পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে আজ বুধবার গোপীবল্লভপুরের জনসভায় এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ সময় মমতা বলেন, সিপিএমের হারমাদরাই এখন বিজেপি হয়ে গেছে। তারাই এখন আমার ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। তবে আমরা অত্যাচারের বদলে অত্যাচার করার নীতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা চাই শান্তির বাংলা গড়তে।’
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পায়ে ব্যথা নিয়ে হুইল চেয়ারে বসেই জনসভা করে চলেছেন মমতা। আর প্রতিটি সভা থেকেই কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে চলেছেন তিনি।
বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন মমতা বলেন, ‘ওরা ১০০ জন নেতা আর কয়েক হাজার গুণ্ডা নিয়ে বাংলা দখল করতে আসছে। ওরা বাংলার মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। সেটা আমরা করতে দেব না। আমরা বাংলাকে ওদের হাতে তুলে দিতে দেব না। লড়াই হবে নির্বাচনী ময়দানে।’
মমতা বলেন, ‘বিজেপি বাংলায় কোনও দিনই ছিল না। ওরা বাংলার কিছুই জানে না। বাংলার সংস্কৃতি কিছুই জানে না ওরা। গত লোকসভা ভোটে জিতেও বিজেপি বাংলার জন্য কিছুই করেনি।’
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ওরা ভাবে বাংলার মানুষ বোকা। ভোটের বাজারে ওরা টাকা ছড়াচ্ছে। কিন্তু টাকা দিলেও বিজেপিকে কেউ ভোট দেবে না।’
তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো আরও বলেন, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেওয়া মানে আমাকে ভোট দেওয়া। সেক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের মতোই ভোট দেবেন। ভোট কাকে দেবেন তা আমি মা, ভাই, বোনদের ওপরেই ছেড়ে দেব। যদি আপনারা চান, তবে আমি থাকব না। আপনারা না চাইলে আমি চলে যাব। যদি আপনারা চান আমি থাকি, তাহলে তৃণমূলকে ভোট দিন। এটা দিল্লির সরকার গড়ার ভোট নয়, এটা বাংলায় সরকার গড়ার ভোট।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিজেপির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময়ে বাংলায় এসে মাইক লাগিয়ে বড় বড় কথা বলে। দুটো বাংলা শিখে বলে, কেমন আছেন। তারপরেই মিথ্যে কথা বলা শুরু করে।’