চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসাছাত্র ও পুলিশের সংঘর্ষে চারজন মারা গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এক বিক্ষোভ থেকে থানা ও সরকারি অফিসে মামলা করলে পুলিশের সঙ্গে হাটাহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের সংঘর্ষ বাধে। এতে ছাত্রসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন ছাত্র ও একজন পথচারী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের বাধা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাকবাংলোতে হামলা করে।
এদিকে মাদ্রাসাছাত্ররা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরোধ করে মারধর করে। তাদের মধ্যে এএসপি (শিক্ষানবীশ) ফারাবী ও এসআই গুরুতর আহত হলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলাব্রত বড়ুয়া বলেন, হাটহাজারীতে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, মিছিলকারীরা হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।
এদিকে চার ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বেলা আড়াইটা থেকে মাদ্রাসার সামনে ছাত্ররা অবরোধ করে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী জানান, জুমার নামাজের পর হেফাজত নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পরে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ঢাকার মতিঝিলে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করলেও পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।