চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মণিসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মার্চ) সাড়ে ৩টায় এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, আজ (সোমবার) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নসিমন ভবন চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে নগর বিএনপি। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার পথে পুলিশ বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করে। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, কাজির দেউড়ি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন আনিসুর রহমান (৬০), মোহাম্মদ হায়দার (২৬) ও প্রিয়াংকা চৌধুরী। তবে এদের মধ্যে প্রিয়াংকা নারী পুলিশ সদস্য বলে জানা গেছে।
সিএমপির কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ চলাকালে নেতাকর্মীরা হঠাৎ পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আমরা তাদের লাটিচার্জ করি। এতে আমাদের ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা ১৫ জনকে আটক করেছি।’
নগর বিএনপির সচিব আবুল হাশেম বক্কর দাবি করেছেন, ৮জন গুলিবিদ্ধসহ তাদের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এরআগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে হামলা-সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে সোম ও মঙ্গলবার (২৯ ও ৩০ মার্চ) দুদিনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম বিএনপির সদস্য সচিব অবুল হাসেম বক্কর এ নেতৃত্ব তিন পুল থেকে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন কাজির দেওরী থেকে যুবদলের মিছিল ও আবুসুফিয়ান ছাত্রদলের মিছিল নিয়ে দলীয় অফিসে প্রবেশ করার পর সংঘর্ষে শুরু হয়।