ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ, উন্নত শহরে পরিণত করতে চট্টগ্রাম শহরকে ঢেলে সাজাতে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার মোটেল সৈকত হল প্রাঙ্গণে এ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব গভঃ হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন চট্টগ্রাম মহানগরীতে এলামনাই এসোসিয়েসন অফ হাজী মো: মহসিন কলেজ আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এবং বিজিএমইএ সহায়ক কমিটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্য এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ উন্নত শহরে পরিণত করতে সব সংস্থাকে এবং নাগরিকদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরকে ঢেলে সাজাতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। আপনারা আমাকে সহায়তা করতে পারেন সচেতন আচরণের মাধ্যমে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করছে কিনা তা দেখছি। আপনারা খান-নালায় ময়লা ফেলবেন না যথা স্থানে ময়লা ফেলুন। ইনশাল্লাহ আপনাদের সহযোগিতা সাথে নিয়ে আমি এ নগরীকে ক্লিন সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব। আমি আমাদের শিক্ষা বিভাগেও কীভাবে উন্নতি করা যায় তা নিয়েও কাজ করছি। বিভিন্ন সেবা সংস্থার সাথে বসে সমন্বয়হীনতা কাটানোর চেষ্টা করছি। আমি ৪১ টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠের সুবিধা তৈরির করার চেষ্টা করছি। ঋণগ্রস্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দায়মুক্ত করতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর পরিবর্তে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং দুর্নীতি বন্ধের চেষ্টা করছি।
নগরবাসীর সহায়তা চেয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে নালানর্দমা অপরিষ্কার থাকা। একটা জিনিস মনে রাখবেন, আমি হাজার হাজার কোটি টাকা জলাবদ্ধতা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এবং মশা মারার জন্য যদি খরচ করে যদি জনগণকে সচেতন করতে না পারি তখন এই নগরকে আপনি সুন্দর রাখতে পারবেন না। এজন্য আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। এ শহর আমার-আপনার সবার। ময়লা যথাস্থানে ফেলুন। প্রতি তিনদিনে ঘরে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। আসুন সবাই মিলে ডেঙ্গুর আতঙ্কমুক্ত থাকি। অনেক এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাঙা দেখেছি। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। যেসব রাস্তাঘাট জনদুর্ভোগের কারণ হচ্ছে সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবিকে মহিউদ্দিন শামীম, কামরুল মেহেদি, আশরাফুল আনোয়ার হীরন, রাজিউর রহমান সেন্টু, জিয়া উদ্দিন খালেদ প্রমুখ। তাঁরা দুই এলামনাইয়ের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাদের সফলতা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে বলে মত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অতিথিরা অংশ নেন।