চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগমুহুর্তে পুলিশ নগর জুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পুলিশ আরও অন্তত শতাধিক আটক করেছে।
নগরীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলায় অন্তত ১০০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। দিনভর পুলিশ সাদা পোষাকে মাইক্রোবাস নিয়ে নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশীর নামে তান্ডব চালাচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে না যেতে পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। এসব ধরপাকড় ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে রিটারিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মুক্তির দাবী জানান এবং সেখানে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করেন।
গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীরা হলেন-চান্দঁগাও থানা পুলিশ নগর যুবদলের সি. সহসভাপতি মোশররফ হোসেন,পাচঁলাইশ থানা পুলিশ পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে মামুন খন্দকার, মো: হেলাল, কাজী সামশু, শোলকবহর ওর্য়াডের আবু সিদ্দিক, খুলশী থানা পুলিশ জাহিদুল ইসলাম জাবেদ, বাকলিয়া থানা পুলিশ খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ সুজন, মকবুল হোসেন, রেজিয়া বেগম মুন্নি, এমদাদুল ইসলাম সাকিল, কোতোয়ালী থানা পুলিশ মো: শাহীন, আশ্রাফুল ইসলাম অনিক, মো: আলী, মোহাম্মদ কিবরিয়া, মো: মামুন, মোহাম্মদ আনোয়ার, আকবর শাহ থানা পুলিশ মানিক, দোলেয়ার হোসেন কালা, আবু তাহের, মনির, গোলাপ হোসেন, রাসেল, রাব্বি, মো. শরীফ, তানবীর আলম রুবেল, বায়েজিদ থানা পুলিশ জাবেদ ওমর, মো: করিম, হালিশহর থানা পুলিশ মনির হোসেন, মনিরুল ইসলাম, পাহাড়তলী থানা পুলিশ মো: বেলাল, অপি, পতেঙ্গা থানা পুলিশ ইকবাল হোসেন, বন্দর থানা পুলিশ মোঃ আব্বাস, আলী হোসেন মো. আবু, মো. দেওয়ান, ডবলমুরিং থানা পুলিশ আবিদের পাড়া কাঠের মসজিদে জানাজা পড়ে যাওয়ার সময় জাহিদ হাসান বাবু, কাইয়ূম হোসেন রিপনসহ ইকবাল হোসেন, মো. আব্দুল হালিম সওদাগর, মো. মহসীন।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কুতুবী, জাকির হোসেন, নূর মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু নাসের সাজ্জাদ, আইনুল ইসলাম জুয়েল, শহিদ উল্লাহ রণিসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।