নানা জল্পনা-কল্পনা আর জটিলতা শেষে দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন তিনি।
নার্স বেরোনিকা কস্তার দেহে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে টিকাদান শুরু করা হয়। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেন ড. আহমেদ লুৎফুল মোবেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা টিকা গ্রহণ করেন। চতুর্থ এবং পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেন পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। প্রথম দিন দেয়া হচ্ছে ৩০ জনকে।
এর আগে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টায় পৌঁছায় ভ্যাকসিনের ভায়াল। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআই এর স্টোর থেকে কোল্ডবক্সে ২০টি ভায়ালে ২০০ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আনা হয়। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এগুলো সংরক্ষণ করা হবে এখানে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হবে ভারত থেকে নিয়ে আসা এ প্রতিষেধক।
এর আগে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআইয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বকস চৌধুরী জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এ প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে ভ্যাকসিন। আমাদের সবকিছু প্রস্তুত আছে। দু-এক দিনের মধ্যে সারাদেশে পাঠানো শুরু হয়ে যাবে। যে ভ্যাকসিনটি আমাদের দেশে এসেছে এটা নিরাপদ এবং যদি মৃদু প্রতিক্রিয়া হয়েও থাকে তাতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। দু-একদিনের মধ্যে এমনি এমনি সেরে যাবে।
ভ্যাকসিন নেয়ার পরে গ্রহণকারীদের বিশ্রাম ও পর্যবেক্ষণ পরবর্তী তথ্য সংগ্রহে চিকিৎসকদল প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা না ভেবে সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, সারাদেশে একযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।