‘কষ্টে থাকা রোজাদারের মুখে হাসি ফোটালে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন’

21

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রোজার দিনগুলো কষ্টে অতিবাহিত করছে অনেক মানুষ। ইফতার আমরা অনেকেই দরিদ্রদেরকে দিই; কিন্তু সাহরির খবর রাখি না। অথচ রোজার শক্তি সঞ্চয়ের জন্য পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সাহরিও জরুরি।

Advertisement

যখন বাজারে যাবেন, শুধু দরদামে ব্যস্ত না থেকে আশপাশে একটু চোখ রাখুন। দুর্মূল্যের কারণে হঠাৎ গরিব হয়ে যাওয়া অনেক সম্ভ্রান্ত মানুষ পেয়ে যাবেন, একটা মাছের দিকে তারা করুণ চোখে চেয়ে আছে। তাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই।

সম্ভব হলে বিনয়াবত মুচকি হেসে তার মাছটা কিনে দিন। এতে আপনার কিছু পয়সা খরচ হবে বটে, কিন্তু অপার্থিব এক মানসিক প্রশান্তিতে ভরে উঠবে আপনার বুক। কারণ, নিজের খাবারের একাংশ অনাহারীর মুখে বিলিয়ে দেয়ার মাঝে যে অপার্থিব সুখ, সেই সুখ বন্ধ দরজায় একলা ভোগের মাধ্যমে কখনোই অর্জিত হয় না।

আসুন, এই রোজায় আশপাশের সম্ভ্রান্ত অথচ অভাবী মানুষগুলোর বাড়িতে একটা মাছ অথবা মুরগি কিনে পাঠাই, যারা মুখ ফুটে কিছু চাইতে পারে না। অনেক সময় নগদ টাকার চেয়ে এই ধরনের উপহার মানুষকে বেশি বিমোহিত করে।

আপনার সহযোগিতায় যদি কষ্টে থাকা রোজাদারের মুখে হাসি ফোটে, আশা করা যায় মহান আল্লাহও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন। কারণ হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো দুস্থের অভাব দূর করবে, মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে

Advertisement