নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠিন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এই মন্ত্রিসভার দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়গুলো হলো– ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়, ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়, ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়, ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়, ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন—
১. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ— অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
২. ড. আসিফ নজরুল— আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়।
৩. আদিলুর রহমান খান— শিল্প মন্ত্রণালয়।
৪. হাসান আরিফ— স্থানীয় সরকার, পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
৫. তৌহিদ হোসেন— পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান— বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
৭. মো. নাহিদ ইসলাম— ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া— যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১০. ফরিদা আখতার— মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
১১. আ.ফ.ম খালিদ হাসান— ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১২. নূর জাহান বেগম— স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়।
১৩. শারমিন মুরশিদ— সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গতকাল রাতে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তাঁরা গতকাল শপথ নেননি। তাঁরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম।