ওসির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা

41
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মামুন আলী ওরফে কিং আলী।

Advertisement

থানায় নির্যাতন, চাঁদা দাবি ও মালামাল লুটের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ, এসআই মানিক ঘোষ, বন্দর থানার এসআই আসাদুল হক, কিশোর মজুমদার, খাতুনগঞ্জের এস এস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন।

এর মধ্যে মামলার আসামি হওয়া পুলিশের তিন এসআই কিং আলীর বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘থানায় নির্যাতন, চাঁদা দাবি ও মালামাল লুটের অভিযোগে পাহাড়তলী থানার ওসি, তিন এসআইসহ আট জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত সিআইডিকে তদন্তপূর্বক ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ১০ অক্টোবর বন্দর থানার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে ২০ হাজার টন পাথর কিনে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করে বাদী পাহাড়তলীর টল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে এনে রাখে। একই বছরের ১৭ অক্টোবর আসামিরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলে। সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে পাথর ক্রয়ের রশিদ ও বাদীর সব জায়গার মূল্য ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু বাদী অসম্মতি জানিয়ে থানা ত্যাগ করেন। ওই দিন রাত ১০টার দিকে এসআই মানিক ঘোষ অতি দ্রুত থানায় গিয়ে চাঁদার টাকা দিতে বলে। একইসঙ্গে বাদীর করা আগের একটি মামলা থেকে হালিশহর থানার সাবেক ওসি প্রণব চৌধুরীর নাম বাদ দিতে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে থানায় আটকে অজ্ঞাত তিন পুলিশকে দিয়ে মারধর করে। এ সময় বাদীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে এবং সারা রাত নির্যাতন করায় বাদী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরদিন তাকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ ছাড়া আসামিরা ২৪ অক্টোবর বাদীর ডিপোর সামনে ৩০টি ট্রাক নিয়ে কেয়ারটেকারকে মারধর করে এবং ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার পাথর, মাটি, ১০ লাখ টাকার স্কেলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়। বাদী ৪৯ দিন হাজতে থাকার পর জামিন পেয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। এ সময় ওসি বাবুল আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর এবং খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।

এ প্রসঙ্গে পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ বলেন, মো. মামুন আলী ওরফে কিং আলীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি নিয়মিত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তিনি প্রধান আসামি ছিলেন। গত মাস-দেড় মাস আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মামুন আলী ওরফে কিং আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর পাহাড়তলীর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় ‘মোহাম্মদ ট্রেডিং’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতা মামুন আলী ওরফে কিং আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মামুন আলীকে (কিং আলী) বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Advertisement