কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালী থানা সুত্র জানায়, যৌতুক আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী জোৎসা আক্তার। মামলা নং ২৮১/২০২১। কোর্টে থেকে আসা ওয়ারেন্টের বিপরীতে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানার একটি টিম।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, কোর্ট থেকে আসা গ্রেফতারী পরওয়ানার ভিক্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু আমরা জানি না। শুধু কোর্টের ওয়ারেন্ট আমাদের হাতে রয়েছে। তবে মুন্না নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা দাবি করছে। কোর্টের ওয়ারেন্ট যেহেতু রয়েছে এখানে আমাদের কোন ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, পেন্ডিং ওয়ারেন্টের তালিকায় থানা বিভিন্ন আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া মাহমুদুল ইসলাম মুন্নার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন সুত্র।
জানা গেছে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে মাদক দমনে ও মাদক ব্যবসায়ীদের চিরতরে উচ্ছেদ করতে সরকারের দমন পীড়নে রাতারাতি বেশকিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গা ঢাকা ও দেশত্যাগ করতে শুরু করছিলো ২০১৯ সালের প্রথম থেকে। সেই সময়ে উঠে এসেছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদুল ইসলাম মুন্নার নাম। নানাকারনে এসময় আলোচনায় এসেছিল তার নামও। একজন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হয়েও তড়িঘড়ি করে দুবাই পাড়ি জমানো এবং দেশে মাদকব্যবসায়ীর ধরপাকড় কালীন সময়ে দেশত্যাগ করার অভিযোগে নানা সংবাদের শিরোনাম হন মাহমুদুল ইসলাম মুন্না।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বেশ কিছু নারী ঘটিত কেলেংকারীর স্ক্রিনশট।