আ. লীগ খেলে নির্বাচনে জিততে চায় : তথ্যমন্ত্রী

186

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা চাই বিএনপি জোট করে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেটি না করে বিশৃঙ্খলা করলে অতীতের মতো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরা খেলে জিততে চাই।’

Advertisement

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা সব কয়টি আসনে ইভিএমে ভোট চেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলার খরচের চাহিদা দিয়েছিল। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এতো টাকা খরচ করা ঠিক হবে না। তাই যে কয়টি আসনে ইভিএমে ভোট করা যায়, আমরা সে কয়টি আসনেই ইভিএমে ভোট করতে চাই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একমাত্র পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সকারের অধীনে ভোট হয়। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে, তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। কিন্তু দেশে সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না।’

এদিকে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আগামীকালের জনসভা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পাঁচ বছরে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ জনসভা থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। জনসভায় বিপুল সংখ্যক নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েও অংশ নেবে। সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম হবে এ জনসভায়।’

মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠটিতে বেশি লোকের জায়গা হবে না। সে জন্য আমরা এ মাঠের সঙ্গে ঈদগাহ মাঠটিকে সংযুক্ত করেছি। আশেপাশের সিঅ্যান্ডবি মোড়, ফায়ারা বিগ্রেড মোড় থেকে চারিদিকে অন্তত ২০০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসভায় আগত মানুষ মাঠে ঢুকতে না পারলেও ১২টি প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে ও দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও দেড় লাখ বোতল পানি ও টয়লেটসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। ফলে স্মরণকালের সবচেয়ে বিশাল জনসভা হবে এটি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, সাইফুজ্জামান শেখর, আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।

Advertisement