নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের সকলের উদ্দেশ্য: এডিসি-ট্রাফিক

164

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেছেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের সকলের উদ্দেশ্য। শিশু ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কেউই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান, ধর্মীয় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে।

Advertisement

আজ ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বালুছড়াস্থ লিডার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটরিয়ামে ট্রাফিক-উত্তর বিভাগ আয়োজিত ‘ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক সচেতনতা’ বিষয়ক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উক্ত কর্মশালায় ৫’শ ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক ব্যবহার, রাস্তা পারাপারে জেব্রাক্রসিং ও ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার এবং ট্রাফিক আইন ও সাইন নিয়ে মৌলিক ধারণা প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রীজ বা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। রাস্তা পারাপারে সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে সুশৃঙ্খলভাবে ফুটপাত দিয়ে কিংবা রাস্তার ডান পাশে ঘেঁষে হাঁটতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। কোন সমস্যা দেখলে জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা নিতে হবে।

সিএমপি’র ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের টিআই (প্রশাসন) মোঃ কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল (অবঃ) আবু নাসের মোঃ তোহা। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআই (বায়েজিদ) মোঃ আলমগীর হোসেন, টিআই (মোহরা) মোঃ রেজাউল করিম খান, টিআই (প্রবর্তক) বিপুল পাল, ট্রাফিক সার্জেন্ট (লজিস্টিক) শিমুল মাহমুদ, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ট্রাফিক বিভাগের সদস্যবৃন্দ।

কর্মশালায় এডিসি-ট্রাফিক বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান, ধর্মীয় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কুল-কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা জরুরী। প্রয়োজনে শিক্ষকেরা এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকেরা এককভাবে দায়ী নয়। ডানে-বামে না দেখে হঠাৎ দৌড়েঁ রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় রাস্তায় হাঁটার সময় কিংবা পারাপারের সময় মোবাইল ও হেড ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। চলন্ত অবস্থায় যানবাহনে উঠা-নামা করা যাবেনা এবং যানবাহন থেকে নামার সময় অবশ্যই প্রথমে বাম পা সামনে দিয়ে নামতে হবে।

এডিসি-ট্রাফিক মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের উর্ধ্বে) হওয়ার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি সাপেক্ষে মোটর সাইকেল বা অন্য কোন যানবাহন চালাতে হবে। তবে মোটর সাইকেল চালানোর সময় নিজের নিরাপত্তায় চালক ও আরোহীকে অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। সড়ক পরিবহণ আইন, ট্রাফিক সাইন, রোড সাইন জেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে মোটর বাইক কিংবা অন্য কোন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

Advertisement