স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার দল বিএনপিই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের দল: ডা. শাহাদাত

182

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সে‌ন বলেছেন, শহীদ জিয়া ২৫ শে মার্চ রাত্রে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে প্রথম পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং ইস্ট রেজিমেন্ট প্রধান জঞ্জুয়াকে হত্যা করেন। ২৬শে মার্চ দিশাহারা জাতি যখন এদিক ওদিক ছুট ছিল ঠিক তখনই মেজর জিয়া চট্টগ্রাম কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থাকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। এই হচ্ছে আসল এবং প্রকৃত ইতিহাস। মেজর জিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেন নি। রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব স্বরূপ বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল হচ্ছে বিএনপি।বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দল। আওয়ামী লীগ ইতিহাস কে বিকৃত করে মিথ্যাচার করছে। ইতিহাস বিকৃত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধরা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করেনা। আগামী দিনে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

Advertisement

তিনি আজ শনিবার (২৫ ই মার্চ) বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান কালে সভাপতির বক্তব্যে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনায় যাবে না বিএনপি। ২০১৮ সা‌লে নির্বাচ‌নের আ‌গে সরকা‌রের সা‌থে বিএন‌পির আ‌লোচনা হ‌য়ে‌ছিল। আ‌লোচনা শে‌ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কা‌দের ব‌লে‌ছিল দে‌শের আর গা‌য়েবী মামলা হ‌বেনা। বিএন‌পির কোন নেতাকর্মী‌কে গ্রেফতার করা হ‌বেনা। এই ঘোষনার কি‌ছুক্ষন প‌রেই আমা‌কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। কাজেই এই সরকার ও নির্বাচন ক‌মিশ‌নের সা‌থে আ‌লোচনা করা অর্থহীন। এরা কথা দি‌য়ে কথা রা‌খেনা, এরা আপদমস্তক মিথ‌্যাবাদী।নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চির আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ন, মুক্তিযোদ্ধারা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। যারা জীবন দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের স্বপ্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, দেশে অর্থনৈতিক সামাজিক সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, মানবিক অধিকার এবং এ দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে। সেই স্বপ্নে এই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে একান্ন বছরে বাংলাদেশের সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণরূপে ভূলুণ্ঠিত।’ দেশের গণতন্ত্রের ওপর বারবার হামলা হয়েছে, দেশে সরকার এবং বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হ‌য়ে রাজপ‌থে থাকার আহবান জনাই।

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, মো. কামরুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হাজী হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওসমান গনি বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা জানে আলম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর, মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ খলিলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার কালু, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু,থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি সাবেক নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ম‌শিউল আলম স্বপন, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, অধ্যাপক জন্টু বড়ূয়া, মহানগর বিএনপি নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম কুতুবী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, রেহান উ‌দ্দিন প্রধান,আলী আজম চৌধুরী, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, ফয়েজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আলী নুর, মন্জুর আলম মন্জু, ফারুক আহমদ, এস এম ফরিদুল আলম, শরিফুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, সাদেকুর রহমান রিপন, আলী হায়দার, মনজুর মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Advertisement