বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এক ফ্লাইটে বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধান ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদও এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন।
বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রী রাশিদা খানম।
সাধারণত ফুল দিয়ে বরণ করার রেওয়াজ থাকলেও করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে এবার তা হয়নি। দুই রাষ্ট্রপ্রধান করমর্দনও করেননি।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ইব্রাহিম সলিহকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
গার্ড পরিদর্শন শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে লাইন অব প্রেজেন্টেশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিনবাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে গার্ড অব অনারে সম্মান জানানো হয় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে। এর পর তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন।
ঢাকায় পৌঁছে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং ধানমণ্ডিন ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বুধবার বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশ-বিদেশের অতিথিরা এই উৎসবে যোগ দেবেন। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানের মূল থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। তবে বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানের পৃথক থিম থাকছে। ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানের থিম ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’।